James Webb Space Telescope 13.5 billion years অতীত দেখতে পাচ্ছে এটার সাথে ইসলাম ধর্মকে জড়ানোর আগে আমাদের আগে বুঝতে হবে যে টেলিস্কৌপট কিভাবে কাজ করে, কি করেছে, এখানে অতীত কী, আসলে অতীত কিভাবে কাজ করে এবং বিজ্ঞানীদের মেসিজটা কি!
আমাদের জীবনে অতীত সব সময়ে বিদ্যমান। মানে অতীতের অংশ, বস্তু, চিত্র বা ইত্যাদি জিনিসের এর উপস্থিতি আমাদের মাঝে, চারপাশে রয়েছে।
যেমনঃ ইসলাম ধর্মের শিক্ষা, কুরআন শরীফ, হাদিস এগুলো অতীতেরই অংশ (প্রায় ১৫০০ বছরের অতীত)। আরো অতীতে যেতে চাইলে জমজম কূপ রয়েছে, যে কূপ এখনো জীবন্ত, সচল। যার পানি এখনো পান করা যায়। হাজার হাজার বস্তু রয়েছে যা অতীতেরই নিদর্শন।
কিছু অতীতের মুহুর্ত আমরা সংরক্ষণ করতে পারি ছবি তুলে, ভিডিও করে। যদিও ব্যাক্তি, বা বস্তুর ক্ষয় হয়ে যায় একটা সময়ের পর। তবে আমরা অতীত সংরক্ষণ করতে পারি, অনেক অতীতের সংরক্ষণ আমাদের মাঝেই রয়েছে। যে বস্তু আমাদের মাঝে উপস্থিত রয়েছে হোক সেটা ক্ষত বা অক্ষত অবস্থায় না কেনো আমরা সে বস্তু বিশ্লেষণ করে বলতে পারি যে আমড়া এতো বছরের অতীত দেখতে পাচ্ছি।
এখন James Webb Telescope এর কাজের প্রক্রিয়া ও ফলাফল কিভাবে কাজ করে সেটা বুঝতে হবে এবং আমাদের জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে।
ধরুন ১, আপনি একটা রাস্তায় ১০০টা পত্রিকা একটার পর একটা রাখবেন যেভাবে একটার পর একটা যানবাহন চলাচল করে। ১০০টা পত্রিকা রাখার পর প্রথম পত্রিকা থেকে ১০০তম পত্রিকা রাখার জায়গায় আসতে আপনার সময় লেগেছে ৮০ মিনিট। ১০০তম পত্রিকার জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনি প্রথম পত্রিকাটা দেখিয়ে অবশ্যই বলতে পারবেন যে আমি ৮০ মিনিটের অতীত দেখতে পাচ্ছি। এভাবেই হিসেব করতে হয় নাহলে কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়না। চাইলে অবশ্যই ছবি তুলে দেখাতেও পারবেন সবাইকে। যেহেতু আপনি একজন মানুষ সেহেতু আপনি সব পত্রিকা দেখার জন্য, কিছু লেখা পড়তে পারছেন কিনা তা জানার জন্য দুরবিন বা আপনার দামীও মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন এবং ছবি তুলে সংরক্ষণ অবশ্যই করতে পারেন। পত্রিকাগুলো ভালো করে দেখার জন্য বা আপনার সুবিধা অনুযায়ী কোনো উঁচু স্থানে দাঁড়িয়েও ছবি তুলতে পারেন। আপনার নিজের তৈরি করা এই পরীক্ষাটা ভালো না লাগলে বাগানে যান, বনে যান এরপর গাছের হিসেব করতে পারেন।
ধরুন ২, আপনি গত ২০ বছর ধরে একটি এলাকায় বসবাস করছেন। এখন আপনি চাইলেই আপনার এলাকার সবচেয়ে উঁচু বিল্ডি এর ছাদে উঠে আশে পাশের অন্য বিল্ডিং এর ছবি তুলে একটা বিল্ডিং এর দিকে ছবি তুলে বলতে পারবেন যে আমি ১৫ বছরের অতীত দখতে পাচ্ছি কারণ উক্ত বিল্ডিংটি ২০ বছরের পুরনো। ঠিক একই ভাবে দূরবীন বা ভালো ক্যামিরা ব্যবহার করে কয়েক মেইল দূরের বিল্ডিং এর ছবি তুলে বলতে পারবেন যে আমি এতো মাইলের দূরত্বের বস্তু দেখতে পাচ্ছি সেইস আথে অতীতও দেখতে পাচ্ছি!
আমার মতে, ইসলাম আপনাকে কেনো মানা করবে?
আপনিও তো অতীতের ফলাফল দেখতে পাচ্ছেন, সবাইকে দেখাচ্ছেন। আল্লাহ নিজেই অতীতের নিদর্শন রেখেছেন আমাদের চারপাশে, আমাদের মাঝে।
আপনিই বা কেনো ইসলাম ধর্মকে হঠাৎ করে টেনে আনবেন! যদি টেনেই আনেন তাহলে তার সৃষ্টির প্রসংশা করুন, কুরআন শরীফ নিয়ে গবেষণা করুন।
James Webb Telescope ইসলামের কোনো কিছু সত্য প্রমান বা মিথ্যা প্রমান করার জন্য করছে না। নক্ষত্র, ছায়াপথ, গ্রহ এগুলো একটা পদ্ধতিতে অবস্থান করছে। আমাদের পৃথিবী, সূর্য আর টেলিস্কৌপও একটা জায়গায় অবস্থান করছে। আর টেলিস্কৌপটি আমাদের কাছে ছবি পাঠাচ্ছে। টেলিস্কৌপটির দৃষ্টি শক্তি আমাদের চেয়ে অনেক ভালো তাই এটা অনেক দূরবর্তী ছবি সংরক্ষণ করতে পারছে। এটা 13.5 Billion Years অতীত বানায়নি যেভাবে আমরা একের পর এক “মূলা” বানিয়েই যাচ্ছি। এটা একটা হিসেব অনুযায়ী দূরবর্তী বস্তুর ছবি পাঠাচ্ছে যা আগে থাকতেই বিদ্যমান, আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। যন্ত্রটি শুধুমাত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবি তুলে পাঠাচ্ছে আরো অনেক কিছু গবেষণা করছে।
তথ্যের ভিত্তিতে
Big Bang থিয়ারি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সামনে আরো থিয়ারি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আমাদের মুসলিম অনেক পন্ডিত ছিলেন যারা কাজ করেছেন, যাদের অতীতের ফলাফল, কাজ আমরা কাজে লাগাচ্ছি আবার গর্বও করছি। কিন্তু তারা যে সেই গেলেন এরপর মুসলানরা আর কোনো কাজের মধ্যে নেই।
অতীত, ভবিষ্যৎ এর নাম শুনলেই আমাদের চুল্কানি শুরু হয়ে যায় যা আসলে হওয়ার উচিত না।