Last Updated on August 20, 2024 by SM Toukir Ahmmed
কিছুদিন আগে সেইন্ট মারটিন’জ্ আইলেন্ড এ বাংলাদেশিদের যাতায়াতে একটু সমস্যা হয়েছিলো কারণ যাত্রীবাহী জাহাজ, ট্রলার গুলো কে কিছুটা মিয়ানমারের জল সীমানা দিয়ে যেতে হয়। ভারতের সাথে Northeast India তে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও ভারতীয়দের সমস্যা হয়, সময় লাগে, এতে কোনো দ্বিমত নেই। বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ভারতীয়রা তাদের অন্য রাজ্যে যাবে তাতে আমার দ্বিমত নেই। এমন যাতায়াতের জন্য ছাড় দেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে ভারতের টাকায় বা ভারত-বাংলাদেশের টাকায় রেইল পথ নির্মাণ করাটা ব্যাক্তিগতভাবে আমি সমর্থন করি না। ভারতীয় যাত্রীবাহী ট্রেইন চলবে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে তা সমর্থন করিনা ভারতের জনসংখ্যা অনেক, আর এটা সত্যি যে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের রেইল যোগাযোগ, কাঠামো, সক্ষমতা অনেকাংশে ভালো। বাংলাদেশে ভারতের “হাতে” রেইল পথ হলে সেখানে যাতায়াতের সংখ্যা বেশি হবে, সেখানে আলাদাভাবে নিরাপত্তার ব্যাপার থাকবে, এছাড়াও মালিকানা মালিকানা ব্যাপার থাকবে। বাংলাদেশের রেইলের সাথে নতুন ভারতীয় রেইলের পার্থক্য হবে চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে আমাদের নিজস্ব রেইল, বাস, ইত্যাদিভাবে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু ভারত নিজে রেইল তৈরি করে দেবে, অর্থায়ন করবে, আর সেই পথে যাতায়াত করবে এর পক্ষে আমি নই। কারণ এতে করে নিজের দেশের প্রতি নিজের মালিকানা পরিপূর্ণভাবে থাকে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেইল যোগাযোগ ভালো, সরকার অনেক নতুন রেইল প্রকল্প হাতে নিয়েছে , কাজ চলছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ভারতীয়রা অন্য রাজে যাতায়াত করবে এর বিপক্ষে নই, তবে রেইল পথের বিপক্ষে। ভারতীয়তের বাংলাদেশী যাতায়াতের মাধ্যম (বাংলাদেশী ট্রেইন, বাস, বিমান বা লঞ্চ) ব্যবহার করেই তাদের অন্য রাজ্যে যেতে হবে। ট্রেইন/ রেইলওয়ে খুবই উত্তম মাধ্যম সেটা যেকোনো দেশেই হোক না কেনো, বাংলাদেশের মানুষও ট্রেইন ব্যবহার করে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যায়। এছাড়া আমি ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশে নতুন করে আলাদাভাবে যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য রেইলওয়ে নির্মাণের বিপক্ষে। ভারতীয়রা তাদের অন্য রাজ্যে গেলে বাংলাদেশের ট্রেইনেই যাবে, প্রয়োজন হলে কয়েকটা ট্রেইন বদল করবে। বাংলাদেশ সরকারের রেইল যোগাযোগ উন্নতি করতে হলে করবে, নতুন বগী লাগানো লাগলে লাগাবে। কিন্তু যেই উন্নতি শুধুমাত্র ভারতীয়দের জন্য, সেই উন্নতির আমি পক্ষে না। এটাও সত্যি যে নতুন রেইলওয়ে চালু হলে সেখানে ভারতীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও যাতায়াত করার সুযোগ পাবে, কিন্তু সেই ট্রেইন বাংলাদেশের ভিতরে থামবে এরপর ভারতের বিশাল জনগণ নিয়েও বাংলাদেশিদের ট্রেইনে তোলার মতো অনেক জায়গা/ সীট থাকবে এবং গন্তব্যে পৌছে দিবে, এটা অনেকটা অবাস্তব। বাংলাদেশের সরকার যারা বাংলাদেশের অনেক বড় প্রকল্প (পদ্মাসেতু, মেট্রোরেইল ইত্যাদি) বাস্তবায়ন করেছে, আমি শতভাগ আশা করি তারা চাইলেই কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেইলওয়ে, যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নতি করতে পারেন, সেটা নিজস্ব টাকা বা চীন বা অন্য দেশ থেকে ঋণ নিয়েই করতে পারেন। সেই যোগ্যতা বাংলাদেশ সরকার (বর্তমানে আওয়ামীলীগের) আছে। আমি যাতায়াতের জন্য ভারতীয়দের স্বাগতম জানাই যাতে করে তারা স্বল্প সময়ে , স্বল্প খরচে Seven Sisters এ যাতায়াত করতে পারে অবশ্যই সামরিক সরঞ্জম বাদে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে। তবে তাদের জন্য আলাদাভাবে একেবারে নতুন রেইলওয়ে তৈরি করে নয়, বাংলাদেশেরই ট্রেইনজ আছে, বাংলাদেশের রেইলওয়ে আরো ভালো হবে। বাংলাদেশের নিজস্ব ট্রেইন দিয়ে যাতায়াতের জন্য দরকার হলে ট্যাক্স খুবই সামান্য লাগ্লো আলাদাভাবে, সেটা ভিতরের হিসেব। বাংলাদেশের নিজস্ব রেইলওয়ে সারা বাংলাদেশে না থাকলে আমি নিজে নতুনাভবে রেইলওয়ে তৈরির বিপক্ষে থাকতাম না। কলকাতা থকে ত্রিপুরা যাওয়ার পথে বাংলাদেশের নিজস্ব রেইলওয়ে রয়েছে। আল্লাহ সবার ভালো করুক, আমীন।