Last Updated on November 15, 2023 by SM Toukir Ahmmed
কুমিল্লাঃ
সাইকেলের পিছনে ছুটছি যাতে করে আমাকেও পিছনের সীটে বসিয়ে ভাইয়া ঘুরতে নিয়ে যায় কুমিল্লায় আমাদের বাসার গলিতে। তখন বয়স খুবই কম ছিলো, স্কুলেও ভর্তি হইনি। সাইকেলের পিছনে সামান্য পিছু নিয়ে কেমন যেনো খারাপ লাগলো, কষ্ট হতে লাগলো আর হাঁপিয়েও গেলাম। তখনি আম্মুকে বলতে লাগলাম আমার এই সমস্যার কথা। তারা আমার শ্বাসকষ্ট রোগের ব্যাপারে আগেই জানতেন তবে আমি আমার সমস্যাটা উপলব্ধি করি তখন। কতো ডাক্তার, কতো কাহিনী কিন্তু কষ্ট কমতো না। শ্বাসকষ্ট হলেই ফার্মেসীতে গিয়ে মুখের উপর মুখোশের মতো লাগিয়ে রাখতো, এরপর একটু ভালো লাগতো। এছাড়া সত্যিই খারাপ লাগতো, আমার শ্বাসকষ্ট মাইল্ড অ্যাসমা ছিলো তারপরও যখন হাঁপানির সমস্যা হতো তখন কষ্ট হতো কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত। মাঝে মাঝে সকালে শুরু হলে দুপুরে ঠিক হয়ে যেতো, আর ভাবতাম এমন কোনো ঔষধ নেই যা খেলে তাড়াতাড়ি কমে যাবে আমার এই কষ্ট!
কিছু মানুষ ছিলেন যারা খুবই ভালোবাসতো, স্নেহ করতো যখন ছোট ছিলাম। সিয়াম ভাইয়া, মোছেনা আপু আরো কয়েকজন ছিলেন, খুব বেশি স্মৃতি মনে নেই তবে, মনে নেই তাদের চেহারাও তবে তাদেরকে মনে আছে, দেখা করার ইচ্ছাও আছে। আম্মু, আব্বু আংকেল আর আন্টির সাথে কথা বলেছিলেন, তারা ঢাকার মুগদায় থাকেন।
ভোলাঃ
ভোলায় থাকার শুরুতে কষ্ট হতো আগের মতো কারণ সাত বা আট বছর হওয়ার আগে কোনো ডক্টার ইনহেইলার আমাকে প্রিস্ক্রাইব করেননি। নিজেকে অসহায় লাগতো খুব আর ভাবতাম এমন কোনো ঔষধ কি নেই! তখন একজন নামকরা ডক্টার ছিলেন, সম্ভবত এইচ কবির নাম হবে, এই ভদ্রলোকই আমাকে প্রথম সাল্টলিন ইনহেইলার প্রিস্ক্রাইব করেন। প্রথমবার ইনহেইলার যখন ব্যবহার করি তখন বয়স সাত বা আট, আহারে কি শান্তি, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কষ্ট দূর। আহারে কি সহজ জীবন, আহারে কতো সহজ সমাধান!